Sunday, 30 September 2018

কামারপুকুরে ইলেকট্রিক চুল্লি

৩০.০৯.২০১৮ - সৌমিক লাহা, কামারপুকুর আমার শহর

কামারপুকুরে ইলেকট্রিক চুল্লি নির্মানে বরাদ্দ সাড়ে ৩ কোটি টাকা||


কামারপুকুরে ইলেকট্রিক চুল্লি নির্মানে ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ ১৮ হাজার ৩২৭ টাকা বরাদ্দ করল কে এম ডি এ।কামারপুকুরের শ্রীপুর ফুটবল মাঠ সংলগ্ন এলাকায় হবে এই ইলেকট্রিক চুল্লি। কে এম ডি এ সাধারনত কলকাতার উন্নয়নের কাজ করলেও বিধায়ক মানস মজুমদারের অনুরোধে ফিরহাদ হাকিম এই কাজের অনুমোদন দিয়েছেন।

ইলেকট্রিক চুল্লির বরাদ্দ টাকার মধ্যে ১কোটি ৯১লক্ষ ৯৯হাজার টাকা চুল্লি নির্মানে ও ১কোটি ৪৭লক্ষ ১৯হাজার টাকা বিদ্যুৎ সংযোগ সহ সৌন্দর্যায়নের কাজ হবে।তাছাড়া সংলগ্ন এলাকায় পাঁচিল, টিউবওয়েল, বিশ্রামাগার ও রাস্তা তৈরি করা হবে।

কে এম ডি এর আধিকারিকদের মতে চুল্লিতে দাহ করতে ১ ঘন্টা সময় লাগবে।দুটি চুল্লি তৈরি হবে।একটি মৃতদেহ দাহ করা হবে আর অন্যটি আপৎকালীন ব্যবস্থার জন্য রাখা হবে।এছাড়া কোনরকম দূষন হবে না।
চুল্লিটি তৈরি হবার পর, কামারপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতকে এটা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে

কামারপুকুর আমার শহর

Friday, 28 September 2018

মা দুর্গার চোখ একেঁছিলেন ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণদেব : কামারপুকুরের লাহাবাড়ির পূজা

২৮.০৯.২০১৮ - সৌমিক লাহাকামারপুকুর আমার শহর

স্বয়ং ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণদেব বাল্যকালে নিজেই  একেঁছিলেন মা দুর্গার চোখ।কামারপুকুরের সবথেকে পুরানো এই পূজা শতাব্দী প্রাচীন লাহাবাড়ির পূজা আজও মহাসমারোহে পালিত হয়।




লাহাবাবুদের দুর্গামন্দির


লাহাবাড়ির এই পুজো চালু করেছিলেন জগন্নাথ লাহা।সে প্রায় আনুমানিক ৪৫০ বছর আগের কথা।তারপর কালের ক্রমে পুজো চললেও বন্ধ হয়ে যায় মাঝের ২০-২৫ বছর।তারপর আনুমানিক ২৫০ বছর আগে সেই পুজো পুনরায় শুরু করেন ধর্মদাস লাহা।তারপর থেকে আজ অবধি মহাসমরোহে এই পুজো পালন করে আসছে কামারপুকুরের লাহা পরিবার।


প্রথা মেনে এই পুজোর কাঠামো পুজো শুরু হয় বিপদতারিনী পুজোর দিন আর ঘট উত্তোলন হয় মহালয়ার পরের দিন। প্রতিপদের দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় মহাচন্ডীর পুজো।



লাহাবাবুদের পাঠশালা
আর এই পুজোর অন্যতম আকর্ষন হল ৮ দিন ব্যাপী যাত্রাপালা। যা চলে মহালয়ার দিন থেকে ষষ্ঠীর দিন অবধি।আগে ঠাকুরের পাঠশালাতেই হতো এই যাত্রাপালা, তবে এখন এই পাঠশালার আটচালার পাশে মঞ্চ বানিয়ে চলে যাত্রাপালা। যাত্রা উপলক্ষ্যে গ্রামবাসীদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো।
যাত্রার এক মুহুর্ত​
২০১৮ সালের যাত্রার সূচী 



এই শতাব্দী প্রাচীন পুজো নিয়ে রয়েছে এক ইতিহাস। জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদে একবার মামলায় জড়িয়ে পড়েন ধর্মদাস লাহা।একদিন গ্রামের মেঠোপথ ধরে সেই মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে চুঁচুঁড়া আদালতে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে ক্লান্ত হয়ে একটি গাছের নীচে বিশ্রামের সময়ে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে মা তাকে বলেন,"মামলায় জয়ী হবি তুই, বাড়ি গিয়ে আমার পুজো শুরু করিস।খানাকুল থেকে দুজন পটুয়া যাচ্ছে।"

তারপর সত্যি মামলায় জিতে আনন্দে মায়ের স্বপ্নবানীর কথা ভুলে যান তিনি।কিন্তু বাড়ি ফিরে চমকে যান তিনি আর দেখেন খানাকুল থেকে দুই প্রতিমা শিল্পী হাজির।তাঁরা ধর্মদাসবাবুকে বলেন,"একটি মেয়ে এসে আমাদের বললে এখানে দুর্গা প্রতিমা গড়তে হবে।তাই আমরা এসেছি"

সেই থেকেই শুরু লাহাবাড়ির দুর্গাপূজা।তারপর সেখানে চালা করে শুরু হয় পুজো, সাল তখন ১১৮২ বঙ্গাব্দ।বর্তমানে সেখানে মায়ের মন্দির অবস্থিত। যেটি প্রতিষ্ঠা হয়  ১২০২ বঙ্গাব্দে।




তবে পুজো শুরু করেও ধর্মদাস লাহা পড়েন মহা অস্বস্তিতে।পুজোই বলি ছিল তখনকার দিনের প্রথা।তবে ধর্মদাসবাবু ছিলেন গোঁসাই গুরুর শিষ্য।তাই বলি কি করে হবে এই ভেবে তিনি চললেন তাঁর গুরুর কাছে সাতবেড়িয়ার মোমিনপুরে।পথে পড়ে সাতবেড়িয়া খাল।পালকিতে করে যেতে যেতে সেখানে তিনি দেখা পান এক বৃদ্ধা রমনীর।বৃদ্ধা ধর্মদাসবাবুকে জিঞ্জেস করেন," বাবা তুমি কোথায় যাবে?" তখন ধর্মদাসবাবু তার সব কথা খুলে বলেন," আমি কি করে যে বলি দিই? তাই আমি গুরুর বাড়ি যাচ্ছি" তখন ঐ বৃদ্ধা বলেন ," মা কি কোনো সন্তানের রক্ত চাইতে পারে? তবে তুই যা দেখ তোর গুরু কি বলে?" 

তারপর ধর্মদাসবাবু কিছুটা রাস্তা যাবার পর দ্বিধাগ্রস্ত হন ও তার কিছু লোককে পাঠান ওই বৃদ্ধা রমনীর সন্ধান করতে।কিন্তু কেউ তার আর সন্ধান পান না।তিনি যেন কোথায় অদৃশ্য হয়ে গেছেন।তারপর ধর্মদাসবাবু গুরুর বাড়ি যান ও গুরুকে সমস্ত কথা বলেন।সব শুনে গুরুদেব বলেন," মা নিজেই তোমাকে দেখা দিয়ে বিধান দিয়ে গেছেন"
সেই থেকে লাহাবাড়ির দুর্গাপূজাতে বলিপ্রথা নিষিদ্ধ।



যা আজও মহাসমোরহে পালিত হয়ে চলছে।
বর্তমানে লাহা পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় দুশো।পুজোর দিনগুলিতে সবাই মন্দিরেই প্রসাদ খান।কারো বাড়িতে রান্না হয় না।আরও একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য এখানে কুমারী পুজো হয় নবমীর দিন।আর যিনি মা দুর্গার পুজো করেন তিনি ঘট উত্তোলনের দিন থেকে মন্দিরে থাকেন।ওই মন্দিরেই পুজো করে খান।
কুমারী পুজো (২০১৬ সালের ছবি)

এবার এই পুজো দেখতে চলে আসুন কামারপুকুর।

© কামারপুকুর আমার শহর
© সৌমিক লাহা

বিশেষ কৃতঞ্জতা - কামারপুকুর লাহা পরিবার ,কার্তিক লাহা ও সঞ্জীব ঘোষ ।

Wednesday, 9 May 2018

অন্য কামারপুকুর



কামারপুকুর মানেই অামরা জানি ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের জন্মস্থান। এটি ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলী জেলার গোঘাট ব্লকের অন্তর্গত একটি গ্রাম।


আপনি কি জানেন ছাড়াও রয়েছে  আরো ২টি জায়গা যাদের নাম কামারপুকুর। এই ২টি জায়গায় বাংলাদেশে অবস্থিত। এই ২টি কামারপুকুর বাংলাদেশের রংপুর ডিভিশনের অন্তর্গত।

১. প্রথম কামারপুকুরটির অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২৫.৮৮৯০৮১৩°উত্তর ও ৮৮.১৯৬৯১৪২°পূর্ব। এটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ৪০০-৪৫০ কিমি দূরে অবস্থিত। এখানে রয়েছে কামারপুকুর ঈদগাহ। এটি হরিপুর উপজেলার পাশেই অবস্থিত।






২. দ্বিতীয় কামারপুকুরটির অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২৫.৭৯১৬৫৩°উত্তর ও ৮৮.৯৩০৩৫৩°পূর্ব। এটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৫০ কিমি দূরে অবস্থিত। গ্রামের পাশ দিয়ে চলে গেছে ঢাকা- দিনাজপুর হাইওয়ে এন-৫। পাশপাশি  রযেছে সৈয়দপুর রেল স্টেশন ও এয়ারপোর্ট।


কি এর আগে জানতেন নাকি অাপনার প্রিয় জায়গার নামেও ভাগ বসিয়েছে অন্য কোনো জায়গা?

তথ্য় সংগ্রহ - সৌমিক লাহা
Source - Google

Friday, 2 March 2018

কামারপুকুরে বইমেলা

ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে কামারপুকুর মেলার পর কামারপুকুরবাসীর জন্য আরও এক বড়ো চমক। কামারপুকুর শ্রীপুর মাঠে আগামী ৪ঠা মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে গোঘাট গ্রন্থমেলা। মেলা চলবে ১১ই মার্চ অবধি। 

ভগিনী নিবেদিতার জন্ম সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই গ্রন্থমেলা সফল করবার জন্য খুব তৎপর প্রশাসন। মেলার তদারকিতে সরাসরি নেমেছেন বিধায়ক মানস মজুমদার। মেলার উদ্বোধন করবেন কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী লোকোত্তরানন্দজী মহারাজ। 

মেলা উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে থাকছেন ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যয়, সারেগামাপা খ্যাত জিমুৎ,চন্দ্রিকা,বাংলা ব্যান্ড ভূমি তেমনই থাকছে চন্দ্রগুপ্ত,মাগন রাজার পালা, মৈমনসিংহ গীতিকার মতো বিখ্যাত নাটক।মেলার সময় দুপুর ২টা থেকে রাত্রি ৯টা অবধি।



কামারপুকুরে ইলেকট্রিক চুল্লি

৩০.০৯.২০১৮ - সৌমিক লাহা , কামারপুকুর আমার শহর কামারপুকুরে ইলেকট্রিক চুল্লি নির্মানে বরাদ্দ সাড়ে ৩ কোটি টাকা|| কামারপুকুরে ইলেকট্রিক ...